Thursday, September 12, 2019

               

পিওর অর্গানিক গুলঞ্চ লতা পাউডার
Pure Organic Gulancha Lata Powder

২৫০গ্রাম= ১৮০/-
৫০০গ্রাম= ৩৫০-

পরিচিতিঃ
গুলঞ্চ একটি দীর্ঘ লতানো উদ্ভিদ। সাধারনত অন্য গাছকে অবলম্বন করে বেড়ে ওঠে। পরিনত বয়সে লতাগুলো আঙুলের ন্যায় মোটা হয়। লতার গায়ের ছালগুলা কাগজের মত পাতলা। নিচে সবুজ এবং ভিতরে সাদা। স্বাদ তিক্ত ও পিচ্ছিল। পাতা সরল, একান্তর, অনেকটা পান আকৃতির, শীতকালে পাতা পড়ে, বসন্তে আবার নতুন পাতা বের হয়। ছোট হরিদ্রাভ সাদা ফুল ও মটরের মত বীজ হয়। ফল পাকলে লাল বর্ণের দেখায়। প্রচলিত নামঃ গুলঞ্চ, গুভুচী, পদ্মগুলঞ্চ।

উপকারিতা/ ঔষধি ব্যবহারঃ
১. পুরাতন বা জীর্ণ জ্বরে: গুলঞ্চের পাতা শাকের মতো কুচিয়ে ভেঙ্গে খেলে জ্বর ছেড়ে যায়। পাতা সংগ্রহ করা সম্ভব না হলে ৮ থেকে ১০ গ্রামের মতো গুলঞ্চের ডাঁটা অল্প জল দিয়ে থেতো করে নিংড়ে ঐ রসকে ছেঁকে, অল্প গরম করে খেতে হবে, এটাতেও কাজ হবে অথবা থেতো করা ঐ গুলঞ্চ এক কাপ জলে সিদ্ধ করে আধা কাপ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে অল্প চিনি মিশিয়ে খেতে হবে অথবা গুলঞ্চের রস বা ক্বাথ দিয়ে ঘি তৈরী করে খেতে হবে। এতে জ্বর ছেড়ে যায়।

২. অরুচিতে: যাঁদের মুখে কিছু ভাল লাগে না, খেতে ইচ্ছে হয় না, তাঁরাও এই পাতা ভেজে খেয়ে দেখুন, তাহলে অরুচি চলে যাবে।

৩. বাতের যন্ত্রণায়: প্রায়ই হাত পা কনকন করে, এই ক্ষেত্রে ১০ গ্রাম অন্দাজ গুলঞ্চ ছেঁচে উপরিউক্ত নিয়মে ক্বাথ করে অল্প একটু দুধ মিশিয়ে কয়েকদিন খেলে ওটা উপশম হবে। তবে যে সব কারণে যেমন আহার, বিহারের জন্য বাত বাড়ে সেগুলিকে বর্জন তো করতেই হবে।

৪. পচা ঘায়ে: ১০ থেকে ১৫ গ্রাম থেঁতো গুলঞ্চের ক্বাথ করে সেটা দিয়ে ক্ষত ধুলে পচা ঘায়ের ব্যথা কমে যাবে।

৫. হৃৎ কম্পনে: ৫ থেকে ৭ গ্রাম গুলঞ্চকে ক্বাথ করে খেলে ওটা কমে যাবে, তবে ২ গ্রেণ বা একরতি গোল মরিচের গুড়া মিশিয়ে খেতে হবে।

৬. রক্তার্শে: যাঁরা এ রোগে ভুগছেন, তাঁরা ৫ থেকে ৭ গ্রাম গুলঞ্চকে ক্বাথ করে খেতে হবে তাহলে প্রশমিত হবে। তবে এই ক্বাথকে ভাগ করে দুই বেলায় খেতে হবে।

৭. দ্বিতীয় যোগ (অর্শের): একটা মাটির বাটি বা খুরিতে গুলঞ্চের রস মাখিয়ে, সেই পাত্রে দই পেতে সেই দই খেলে অর্শের উপকার হয়।

৮. আগ্নিমান্দ্যে: খাওয়ার ইচ্ছে যেমন কম, আবার খেলেও হজম হতে চায় না, যাকে বলা হয় অগ্মিমান্দা রোগ বা শ্লেষ্মাপ্রধান অগ্নিমান্দা, এ ক্ষেত্রে গুলঞ্চ শুকিয়ে গুড়া করে প্রত্যহ ১ গ্রাম করে জলসহ খেতে হবে। সপ্তাহ খানেকের মধ্যে ক্ষিধে বেড়ে যাবে।

৯. স্বরভঙ্গে: স্থুলকায়, তার সঙ্গে আবার কফের যোগ হলে অনেকের স্বরভঙ্গ হয়, সেখানে গুলঞ্চের ক্বাথে কাজ হয়।

১০. কাসিতে: অনেক সময় কাসি হেকে ডেকে আসে না, খসখসে, সেখানে একটু গুলঞ্চের ক্বাথে মধু মিশিয়ে খেলে অসুবিধাটা কমে যাবে।

১১.বাতরক্তে: অনেক সময় গায়ে চাকা চাকা হয় এবং অনেক ক্ষেত্রে শক্ত হয়, আবার ব্যথাও থাকে; এ ক্ষেত্রে গুলঞ্চের রস বা ক্বাথ দিয়ে তৈরী তেল মাখা, অভাবে গুলঞ্চের রস গায়ে মাখা ও গুলঞ্চের ক্বাথ খাওয়া, এর দ্বারা ঐ বাতরক্তজনিত অসুবিধা যেটা আসছে সেটা দূর হবে। তবে এটি যদি পদ্মগুলঞ্চ হওয়া দরকার, তা না হলে আশানুরূপ উপকার হয় না।

১২. কমলা বা ন্যাবা রোগ: ২ ইঞ্চি পরিমাণ গুলঞ্চ চাকা চাকা করে কেটে ১ কাপ জলে রাত্রে ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই জলটায় একটু চিনি মিশিয়ে খেতে হবে।

১৩. বাতজ্বরে: সর্দি কাসি কিছুই নেই, হঠাৎ হাই উঠে কেঁপে জ্বর আসে, আবার খানিকক্ষণ বাদে কমে যায়, একে বলে বাতিকের জ্বর, এ ক্ষেত্রে ৮ থেকে ১০ গ্রাম গুলঞ্চকে থেঁতো করে তার ক্বাথ ছেঁকে ঠাণ্ডা হয়ে গেলে খেতে হবে।

১৪. শুল ব্যথা: গুলঞ্চ চূর্ণ ১ গ্রাম, গোল মরিচের গুঁড় সিকি গ্রাম একসঙ্গে গরম পানি দিয়ে খেতে হবে।

১৫.বসন্ত রোগে: হাত পা অসম্ভব ব্যাথা করে এক্ষেত্রে গুলঞ্চ রস করে অল্প জল দিয়ে থেঁতো করলেই এর রস সহজে বেরোয়; সেই রস হাত পায়ে লাগালেই ঐ জ্বালা কমে যাবে।

১৬. পেটের দোষে: প্রায়ই ভুগে থাকেন, পেট জ্বালাও করে, সঙ্গে সঙ্গে ফ্যাকাসে ভাব আসছে, এ ক্ষেত্রে গুলঞ্চের ক্বাথ কাজে আসে।

১৭. সোরিয়াসিসে (Psoriasis): গায়ে চাকা চাকা হয়ে ওঠে, মুমড়ি পড়তে থাকে, আবার কোনো কোনো জায়গা থেকে রস গড়তে থাকে, এ ক্ষেত্রে গুলঞ্চের ক্বাথ খাওয়া, গুলঞ্চের রস দিয়ে তৈরী তেল মাখা, আর গুলঞ্চ রস করে গায়ে মাখা। অদ্ভুত ফল পাবেন।

১৮. পিত্ত বমিতে: পেটে কিছু থাকছে না, সে ক্ষেত্রে আধ কাপ জলে দেড় বা দুই ইঞ্চির মতো গুলঞ্চ পাতলা চাকা চাকা করে কেটে জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে, তারপর তা থেকে ছেঁকে ২ থেকে ১ চামচ করে জল নিয়ে তার সঙ্গে ২ থেকে ১ চামচ দুধ মিশিয়ে খেতে হয়। অবশ্য এটা পিত্তশ্লেষ্মা জন্য বমনেই ভাল।

১৯. পিপাসায়: ঐভাবে কাটা গুলঞ্চ ও মৌরী একসঙ্গে ভিজিয়ে ঐ জল একটু একটু করে খেতে হবে তাহলে পিপাসা চলে যায়।

২০. মেদবৃদ্ধিতে: যারা না খেয়েই মোটা আর খেলে তো কথায় নেই, তাঁরা ৮ থেকে ১০ গ্রাম গুলঞ্চের ক্বাথ করে বা ১ কাপ আন্দাজ; তাতে ১ চামচ মধু মিশিয়ে খেয়ে হবে, তবে ২ থেকে ৪ দিন খেয়েই হতাশ হলে চলবে না।

২১. ক্রিমিতে: গুলঞ্চের ক্বাথ একটু একটু খেতে হবে, বা খেলে ক্রিমি সমস্যার সমাধান হবে।

২২. মস্তিকের দূর্বলতা: গুলঞ্চের চিনি ৩ রতি থেকে এক আনা মাত্রায় একটু দুধের সঙ্গে খেলে ঐ দূর্বলতাটা কেটে যায়।

২২. দূর্বলতা: দীর্ঘদিন থেকে চলছে, অস্থির কোনো পোষণ নেই; সেক্ষেত্রে অল্প ঘিয়ের সঙ্গে গুলঞ্চর চিনি ১ গ্রাম আন্দাজ মিশিয়ে চেটে খেলে আস্তে আস্তে সমস্যার ঠিক হয়ে যাবে।

২৩. প্রমেহ রোগে: প্রমেহ কথাটার দ্বারা প্রস্রাব ঘটিত বহু, রোগের ইঙ্গিত বহন করে, তার মধ্যে যে মেহে প্রস্রাবের পূর্বে বা পরে লালার মত নির্গত হয় তাকে বলা হয় লালা মেহ । এই ক্ষেত্রে গুলণ্ডের চিনি হাফ গ্রাম এবং তার সঙ্গে কাবাবচিনি হাফ গ্রাম মাত্রায় একত্রে দুধসহ খেলে কয়েক দিনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ফল পাওয়া যায়। আমাদের দেশে একটা প্রবাদ প্রচলিত যে, নিম গাছের গুলঞ্চই বেশী তিক্ত হয়, এবং সেই গাছের গুণ গ্রহণ করে। এরা অপরাশ্রীতা লতা হলেও অপরের রস গ্রহণ করার উপযোগী পরিবেশই বা কোথায় ? তারা তো মাটি থেকে রস গ্রহণ করে। তবে প্রজাতি ভেদে সে যে গাছই আশ্রয় করে থাকুক না কেন, স্বল্প বা তিক্ত হবেই। সাধারণ গুলঞ্চ যাকে আমরা চলতি কথায় বলি ‘ঘোড়া গুলঞ্চ’ (Tinospora cordifolia). সে গুলঞ্চ নিমগাছের হলে সে তিক্ত হবে। আবার পদ্মগুলঞ্চ যদি আমড়া গাছেও হয়, তার তিক্ততা যে কেমন তা যে পান করে সেই বুঝবেন।

২৪.মাথায় ছোট ছোট ফুসকুড়ি ও ব্যথাও আছে, আবার মুখে মামড়িও পড়ে; এটি পিত্তশ্লেষ্মাজ ব্যাধি। এ ক্ষেত্রে গুলঞ্চের রস দিয়ে তৈরী তেল মাথায় লাগালে ভাল কাজ হয়, তা না হলে ১ চামচ রস ৩ থেকে ৪ চামচ জল মিশিয়ে একটু গরম করে সেইটা প্রত্যহ একবার করে কয়েকদিন লাগানো আর গুলঞ্চের রস খেতে হবে।


সংরক্ষণ পদ্ধতিঃ
Pure Organic Gulancha Lata Powder পলিথিনে ভরে মুখ বন্ধ করে অথবা বায়ুশূন্য পাত্রে শুষ্ক স্থানে সূর্যের আলো থেকে দূরে রাখতে হবে। 


প্যাকেজিংঃ
Pure Organic Gulancha Lata Powder প্লাস্টিকের কৌটায় অথবা বায়ুশূন্য পলিপ্যাকে সরবরাহ করা হয় যেন ডেলিভারির সময় ভেঙ্গে না যায়।

ডেলিভারির মাধ্যমঃ ১। ঢাকা শহরের জন্যঃ- ক্যাশ অন হোম ডেলিভারি (ডেলিভারি চার্জ ৫০ টাকা)২। ঢাকা শহরের বাইরে (সারা দেশ)ঃ- আপনার নিকটস্থ কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ডেলিভারি নিতে পারবেন। কুরিয়ার সার্ভিসে ডেলিভারি নেওয়ার জন্য পণ্যের দাম এবং কুরিয়ার চার্জ অগ্রিম প্রদান করতে হবে। অগ্রিম না পেলে পণ্য বুকিং দেওয়া হয় না।

অর্ডার করতেঃ১। সরাসরি ফোন করুনঃ ০১৯০৫- ৬৪ ২৯ ৫৪ অথবা ০১৭৭২- ৫০ ২০ ৭৩ নম্বরে২। ফেসবুক পেজে (Organic Health & Beauty Care Shop) টেক্সট করেও অর্ডার দিতে পারবেন। সেক্ষেত্রে পণ্যের নাম, আপনার নাম, মোবাইল নম্বর ও ঠিকানা উল্লেখ করে টেক্সট করতে হবে। কুরিয়ারে ডেলিভারির জন্য কুরিয়ার সার্ভিসের নাম উল্লেখ করতে হবে। আমরা আপনার সাথে যোগাযোগ করে অর্ডার কনফার্ম করে নিব। ৩। কুরিয়ার সার্ভিসের ক্ষেত্রে অগ্রিম টাকা পাঠানোর বিকাশ নম্বর ০১৭৭২- ৫০ ২০ ৭৩ (পার্সোনাল) বিকাশ চার্জ লাগবে না। টাকা পাঠানোর পর অবশ্যই ফোন করে অথবা ফেসবুক পেজে টেক্সট করে জানিয়ে দিতে হবে। বিঃ দ্রঃ গুণগত মান শতভাগ অটুট রাখার জন্য আমরা ঔষধি ভেষজ গুলো কোন প্রকার রাসায়নিক পদার্থ ছাড়াই প্রাকৃতিক উপায়ে সংরক্ষণ করি। আপনারা অর্ডার কনফার্ম করার পরে আমরা পণ্য প্যাকেজিং করে ডেলিভারির ব্যবস্থা করি, তাই পণ্য ডেলিভারি করতে ১/২ দিন সময় লাগে। সুতরাং একটু ধৈর্য ধরে পণ্য ডেলিভারি নেওয়ার অনুরোধ করা হল, যাতে আমরা আপনাদের হাতে শতভাগ প্রাকৃতিক ভেষজ পণ্য তুলে দিতে পারি।৩। কুরিয়ার সার্ভিসের ক্ষেত্রে অগ্রিম টাকা পাঠানোর বিকাশ নম্বর ০১৭৭২- ৫০ ২০ ৭৩ (পার্সোনাল) বিকাশ চার্জ লাগবে না। টাকা পাঠানোর পর অবশ্যই ফোন করে অথবা ফেসবুক পেজে টেক্সট করে জানিয়ে দিতে হবে। বিঃ দ্রঃ গুণগত মান শতভাগ অটুট রাখার জন্য আমরা ঔষধি ভেষজ গুলো কোন প্রকার রাসায়নিক পদার্থ ছাড়াই প্রাকৃতিক উপায়ে সংরক্ষণ করি। আপনারা অর্ডার কনফার্ম করার পরে আমরা পণ্য প্যাকেজিং করে ডেলিভারির ব্যবস্থা করি, তাই পণ্য ডেলিভারি করতে ১/২ দিন সময় লাগে। সুতরাং একটু ধৈর্য ধরে পণ্য ডেলিভারি নেওয়ার অনুরোধ করা হল, যাতে আমরা আপনাদের হাতে শতভাগ প্রাকৃতিক ভেষজ পণ্য তুলে দিতে পারি।

No comments:

Post a Comment